রামেকে মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছে অর্ধকে

রামেকে মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছে অর্ধকে

মোঃমাসুদ আলম, জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী

প্রায় তিন মাস পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে সর্বনিম্ন মৃত্যুর সংখ্যা নেমে এসেছে সাতজনে। চলতি বছরের ১ জুন একদিনে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে সাতজনের মৃত্যু হয়েছিলো। এর পর থেকেই হু হু করে বাড়তে থাকে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা। যা চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তবে আশার কথা হলো এখন প্রায় প্রতিদিনই করোনা রোগীর মৃত্যুর হার কমছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। ফলে প্রায় তিন মাস পরে এসে গত বুধবার সকাল থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত এ হাসপাতালে ২৪ ঘন্টায় মারা গেছে ৬ জন। এর মধ্যে করোনায় চারজন, উপসর্গ নিয়ে একজন এবং করোনা নেগেটিভ হয়ে অন্য সমস্যা নিয়ে একজন। গত বুধবার ২৪ ঘন্টায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এক মাসেরও বেশি সময় পরে এ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকের কম। আজ সকাল পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি আছেন ১৯০ জন। যা গত ১৭ জুন ছিল ৫২৭ জন।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্র মতে, চলতি বছরের জুন থেকে রামেক হাসপাতালে করোনা উপসর্গ ও আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে। ফলে রামেক হাসপাতাল যেন একটি মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়।স্বজন হারানোদের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে হাসপাতালের প্রধান ফটক সহ রামেকের আশপাশ। তবে মৃত্যুর সংখ্যা কমতে শুরু করে আগস্টের মাঝামাঝিতে  এসে। চলতি মাসেও প্রতিদিন গড় মৃত্যুর সংখ্যা ১৬ জন করে। যা গত জুলাই মাসে ছিলো ১৬ দশমিক ৯৭ জন করে। আগের জুন মাসে প্রতিদিন গড়ে ১৩ জন করে মারা গেছেন। তবে গতকাল ২৫ আগস্ট পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন মারা গেছে ১২ দশমিক ৫২ জন করে।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪১৮ শয্যার রামেক করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রোগী ভর্তি আছে  ১৯০জন। একদিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ২০৯জন।বর্তমানে রাজশাহীর ৯৯জন, চাঁপাইনবাবগন্ঞ্জের ২২জন, নাটোরের ২২জন, নওগাঁর ১৩ জন,পবনার ১৭জন, কুষ্টিয়ার ১১ জন, জয়পুরহাটের ৩ জন চুয়াডাঙ্গার ১ জন, মেহেরপুরের ১জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

গত ১ আগষ্ট থেকে ২৬ আগষ্ট পর্যন্ত রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৩২৬জন। এর মধ্যে করোনায় ১৪০ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ১৫৪ জন এবং করোনা নেগেটিভ থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় ৩১ জন মারা জন।

আপনি আরও পড়তে পারেন